ব্রেইন স্টোরমিং

ব্রেন টিজার: ছোটবেলা থেকেই মগজের ব্যায়াম
নিউরন প্রগ্রেসিভ স্কুলে আমরা মনে করি, একজন ছাত্র শুধু কতটা জানে তা নয় — সে কীভাবে চিন্তা করে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর এই চিন্তার জগৎ খুলে দেয় ব্রেন টিজার বা বুদ্ধির খেলা।
অনেকেই ভাবেন, ব্রেন টিজার মানে শুধু সময় কাটানোর খেলা। কিন্তু আসলে এগুলো হলো ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধিকে শানিত করার এক অসাধারণ উপায় — বিশেষ করে ছোটবেলা থেকেই।
কেন ছোটদের জন্য ব্রেন টিজার জরুরি?
1. যুক্তিতে চিন্তা করার অভ্যাস গড়ে
ব্রেন টিজার খেলতে গেলে একটা সমস্যা ভালোভাবে দেখতে হয়, ধাপে ধাপে ভাবতে হয়। এতে বাচ্চারা যুক্তি দিয়ে চিন্তা করা শিখে, যেটা পড়াশোনার সব বিষয়েই কাজে লাগে।
2. নতুনভাবে চিন্তা করতে শেখায়
সব সমস্যার একটাই সমাধান হয় না। ব্রেন টিজার বাচ্চাদের আলাদাভাবে ভাবতে শেখায় — এক কথায়, “বক্সের বাইরে চিন্তা”।
3. ধৈর্য আর মনোযোগ বাড়ে
বেশিরভাগ ব্রেন টিজারে চট করে উত্তর আসে না। অনেক সময় চেষ্টা করতে হয়। এতে বাচ্চাদের ধৈর্য, মনোযোগ আর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা গড়ে ওঠে।
4. মেমোরি আর মগজের গতি বাড়ায়
প্যাটার্ন মনে রাখা, নিয়ম মেনে চিন্তা করা — এসব করতে করতেই মেমোরি আর ব্রেইনের কাজের গতি বেড়ে যায়।
5. দলবদ্ধভাবে কাজ শেখায়
ব্রেন টিজার যদি দলবদ্ধভাবে খেলা হয়, তাহলে সবাই মিলে আলোচনা করে সমাধান খুঁজতে হয়। এতে যোগাযোগ, সহমর্মিতা আর টিমওয়ার্ক শেখা যায়।
6. আত্মবিশ্বাস বাড়ে
যখন বাচ্চারা নিজেরাই কঠিন একটা ধাঁধার সমাধান করতে পারে, তখন ওদের মধ্যে “আমি পারি” মনোভাব তৈরি হয়। এটা ভবিষ্যতের অনেক বাধা পার করতে সাহায্য করে।
নিউরন প্রগ্রেসিভ স্কুলে আমরা কীভাবে ব্রেন টিজার ব্যবহার করি?
আমাদের স্কুলে ব্রেন টিজার শুধু খেলার জিনিস না — এটা দৈনন্দিন শেখার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-
প্রতিদিনের শুরুতে ব্রেন এক্টিভিটি: প্রতিদিন সকালে ছোট একটা ধাঁধা বা ধাঁধা-রকম প্রশ্ন দিয়ে দিন শুরু হয়।
-
ক্লাসরুমে 'পাজল কর্নার': যেখানে ছেলেমেয়েরা ফ্রি টাইমে পাজল বা ব্রেন টিজার খেলতে পারে।
-
পাঠ্যবিষয়ের সঙ্গে মিলিয়ে ধাঁধা: গণিত, ভাষা বা বিজ্ঞানের ক্লাসে টপিক বুঝাতে ব্যবহার করা হয় মজার ধাঁধা।
-
গ্রুপ চ্যালেঞ্জ ও পাজল প্রতিযোগিতা: ছাত্ররা একসাথে দল বেঁধে ব্রেন গেম খেলায় অংশ নেয়, যা শেখাকে করে আনন্দদায়ক।
শেষ কথা
ব্রেন টিজার মানে শুধু খেলা না — এটা একটা বুদ্ধির ব্যায়াম। ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা যখন মগজ খাটিয়ে সমস্যা সমাধান করতে শেখে, তখন তারা বড় হয়ে হয় চিন্তাশীল, আত্মবিশ্বাসী আর বুদ্ধিমান মানুষ।
নিউরন প্রগ্রেসিভ স্কুলে আমরা চাই ছাত্রছাত্রীরা জানার সাথে সাথে ভাবতেও শিখুক। আর ব্রেন টিজার সেই শেখার এক দারুণ সঙ্গী।
নিউরন প্রগ্রেসিভ স্কুল – যেখানে প্রতিটা ধাঁধা তৈরি করে ভবিষ্যতের একজন চিন্তাবিদ।
আপনার শিশুকে দিন বুদ্ধির খেলা শেখার সুযোগ – মজা করেও হোক মগজের ব্যায়াম!