মেডি-এইড এজ্যুকেশন

প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা শিক্ষা
(নিউরন প্রোগ্রেসিভ স্কুল)
নিউরন প্রোগ্রেসিভ স্কুল সবসময় চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের এমন কিছু শেখাতে, যা তারা শুধু পরীক্ষার খাতায় নয়, বাস্তব জীবনেও কাজে লাগাতে পারে। সেই চিন্তা থেকেই আমরা আমাদের পাঠ্যক্রমে যুক্ত করেছি প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা শিক্ষা। এই শিক্ষা প্রাথমিক স্তর থেকেই শিশুদের শেখায় কিভাবে ছোটখাটো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার সময় নিজের বা অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হয়।
কেন এই শিক্ষা দরকার?
জীবনের যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। হঠাৎ পায়ে কেটে যাওয়া, হাত পুড়ে যাওয়া বা কারো জ্বর উঠে যাওয়া – এসব সময় যদি আশেপাশে কেউ একটু প্রাথমিক সাহায্য করতে পারে, তাহলে বড় ক্ষতি এড়ানো যায়।
এই শিক্ষার মাধ্যমে শিশুরা—
-
ছোটখাটো চোটে কীভাবে ব্যান্ডেজ বা ড্রেসিং করতে হয় শিখে
-
কেমন উপসর্গে বিশ্রাম দরকার আর কখন ডাক্তার ডাকা দরকার, সেটা বুঝতে শেখে
-
হাত ধোয়া, পরিষ্কার থাকা, সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার—এই অভ্যাসগুলো গড়ে তোলে
-
নিজে আত্মনির্ভর হয়, আর অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতা তৈরি করে
কী কী শেখানো হয়?
১. প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফার্স্ট এইড:
-
কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে কীভাবে পরিষ্কার করতে হয়
-
জীবাণুনাশক ব্যবহার করে ব্যান্ডেজ লাগানো
-
রক্তপাত বন্ধ করার প্রাথমিক উপায়
২. ছোট উপসর্গ চেনা ও বোঝা:
-
জ্বর, মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা বা দুর্বলতা হলে কী করণীয়
-
কীভাবে থার্মোমিটার বা পলস অক্সিমিটার ব্যবহার করতে হয়
-
কবে ঘরে বিশ্রাম নেবে, আর কবে বড়দের জানাবে বা ডাক্তার দেখাবে
৩. স্বাস্থ্যবিধি ও দৈনন্দিন যত্ন:
-
হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম
-
হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার (মুখ ঢেকে কাশি, টিস্যু ব্যবহার)
-
মুখ ও শরীর পরিষ্কার রাখা
-
বিশুদ্ধ পানি পান ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
কীভাবে শেখানো হয়?
আমরা এই বিষয়টি শিশুদের বয়স বুঝে সহজভাবে ও ধাপে ধাপে শেখাই।
-
প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট ক্লাস রাখা হয়
-
ভিডিও ও ডেমো দেখিয়ে শেখানো হয়
-
শিক্ষার্থীরা নিজেরাই ছোট ছোট ব্যান্ডেজ লাগানো, থার্মোমিটার দেখা ইত্যাদি প্র্যাকটিস করে
-
স্কুলে থাকে ফার্স্ট এইড বক্স, যেটা ব্যবহার করার নিয়মও শেখানো হয়
-
কখনো কখনো ‘হেল্থ ডে’ পালন করা হয়, যেখানে শিশুদের স্বাস্থ্য চেক-আপ, সচেতনতামূলক পোস্টার ও খেলা হয়
কারা পাবে এই শিক্ষা?
এই কোর্সটি দেওয়া হয় দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের। বয়স অনুযায়ী বিষয়বস্তু সহজ ও মজার করে উপস্থাপন করা হয়।
আমাদের লক্ষ্য
আমরা চাই, আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন কেবল ভালো ছাত্র নয়, একজন সচেতন, যত্নশীল আর দায়িত্ববান মানুষ হয়ে উঠতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা শিক্ষা দিয়ে আমরা ওদের এমন কিছু শেখাই, যা ভবিষ্যতে ওদের নিজেদের এবং অন্যদের উপকারে আসবে।
নিউরন প্রোগ্রেসিভ স্কুল – শুধু বইয়ের শিক্ষা নয়, জীবনের শিক্ষা।